কৃষঞ্চুড়াকে খুব ভালোবাসতে তুমি
পলাশ শিমুলও ছিলো তোমার প্রিয়
রক্তরং দেখলেই আবেগের খেয়ায়
ভেসে যেতে তুমি দূরে, বহুদূরে।
কোকিলের কুহুধ্বনিতে আলোড়িত হতে তুমি
বিদগ্ধ উচ্ছ্বাস কিংবা স্পর্শহীন শিহরণে
রহস্যাবৃত অজানায় হারাত তোমার মন,
আমি বলতাম, ভয়জাগানো কোকিলের সুরে
এত সুখ খুঁজে পাও কেন তুমি?
জবাবে শুধুই মুচকি হাসতে
ভাবতাম, এটা কি সুহাস্য নাকি শ্লেষাস্য?
বসন্তের পলাশ ফোটা শেষ বিকেলে
রক্তজলের বৃষ্টিতে আমাকে সিক্ত করে
সুখের নতুন গন্তব্যে সেই যে তুমি গেলে
পত্রহীন বৃক্ষে নতুন সবুজ পাতার মত
আর কোনোদিন আসোনি তো ফিরে।
আবার এসেছে লালে লালে সজ্জিত বসন্ত
ক্ষত-বিক্ষত অতীতের সেইসব স্মৃতিতে বিলীন হয়ে
রাঙা পলাশ কিংবা কৃষ্ণচূড়ার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে
আজও তোমাকেই খুঁজি জীবনের বিবর্ণ প্রান্তরে।
দৈনিক যুগান্তর, ১৯শে মার্চ-২০০৮
0 মন্তব্যসমূহ